
সিএসবি২৪ ডটকম ॥
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা পলাতক খোকন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে আনীত ১১টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি ট্রাইব্যুনালের দ্বাদশ রায়। আর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে এটি দ্বিতীয় রায়। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ ১১টি অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৩ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দখিল করার পর ১৮ জুলাই তা আমলে নিয়ে খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে পলাতক খোকন রাজাকারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে গত বছরের ৩০ জুলাই দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় ওই বছরের ১৪ আগস্ট তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরু করা হয়। একই সঙ্গে খোকন রাজাকারের পক্ষে আব্দুস শুকুর খানকে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন দাশসহ খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে মোট ২৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি পেশ করেছেন। তবে তার পক্ষে কোনো স্বাক্ষী ছিল না।
পাঠকের মতামত